মন-মননের পত্রালি

৳ 200.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9879846032918
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১২৮
সংস্কার 1st Published, 2016
দেশ বাংলাদেশ

অন্নদাশঙ্কর রায় (১৯০৪-২০০২) বাংলার শেষ রেনেসাঁ-পুরুষ। ঐতিহ্য-চেতনায় তিনি একদিকে যেমন বিশুদ্ধ বাঙালি, অপরদিকে সংস্কৃতির অন্বেষণে বিশ্বপথিক। অহিংস-পন্থায় তার অটল বিশ্বাস, মানবতার তিনি একান্ত পূজারি, সৌন্দর্য-প্রেমের নিত্য-অন্বেষক, মৃৎ-সংস্কৃতির মমতায় সিক্ত, সম্প্রদায়-সম্প্রীতি রচনায় নিষ্ঠ সাধক। তাঁর জীবনচেতনা ও সাহিত্যসাধনায় তলস্তয়রবীন্দ্রনাথ যেমন, তেমনই গান্ধি-লালনও প্রেরণা হয়েছেন।

সব্যসাচী বাঙালি লেখক তিনি। সৃষ্টিধর্মী ও সিদ্ধি। অন্নদাশঙ্করের লেখালেখির সূত্রে তার চিঠিপত্রের কথাও এসে যায়। তার চিঠিপত্রও মননশীলতার সাক্ষ্য বহন করে। তার অনেক বিশ্বাস ও বক্তব্যই এই পত্রাবলির ভেতরে প্রতিফলিত- কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা পত্র-প্রবন্ধ হিসেবেও গণ্য হতে পারে। এখানে সংকলিত পত্রগুচ্ছে ভিন্ন এক বহুমুখী ভাবুক এবং সেইসঙ্গে অন্তরঙ্গ অন্নদাশঙ্করকে সহজেই আবিষ্কার করা সম্ভব।

(মার্চ ১৫, ১৯০৪ - অক্টোবর ২৮, ২০০২), একজন স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক। ভারতের উড়িষ্যা জেলার তার জন্ম। তিনি একজন বিখ্যাত ছড়াকারও। অন্নদাশঙ্করের জন্ম হয় ব্রিটিশ ভারতে বর্তমান উড়িষ্যার ঢেঙ্কানলে । তাঁর পিতা ছিলেন ঢেঙ্কানল রাজস্টেটের কর্মী নিমাইচরণ রায় এবং তাঁর মাতা ছিলেন কটকের প্রসিদ্ধ পালিত বংশের কন্যা হেমনলিনী । ছোটবেলায় ঢেঙ্কানলে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় । ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন । এরপর সংবাদপত্রের সম্পাদনা শিখতে কলকাতা বসুমতী পত্রিকার সম্পাদক হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষের কাছে যান । তিনি শর্টহ্যান্ড, টাইপরাইটিং এবং প্রুফরিডিং-ও শেখেন । কিন্তু এই কাজ তাঁর ভালো লাগেনি । এরপর তিনি কটকের র‌্যাভেনশ কলেজ থেকে আই.এ পরীক্ষা দেন এবং তাতে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন । ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে বি.এ পরীক্ষাতেও তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম স্থানাধিকারী হন । ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে এম.এ পড়তে পড়তে আই.সি.এস পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয়বারে পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে প্রথম স্থান অধিকার করেন । তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে এ গৌরব লাভ করেন। সেই বছরেই তিনি সরকারি খরচে আই.সি.এস হতে ইংল্যান্ড যান । সেখানে তিনি দুই বছর ছিলেন । এই সময়ে তাঁর ধারাবাহিক ভ্রমণ কাহিনী পথে প্রবাসে বিচিত্রায় প্রকাশিত হয় । ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন কন্যা অ্যালিস ভার্জিনিয়া অনফোর্ডকে বিবাহ করে তিনি তাঁর নাম দেন লীলা রায় । লীলা রায় বহু বই বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন । অন্নদাশঙ্করের অনেক লেখা লীলাময় ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়েছিল । ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রথম নদীয়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে কাজে যোগ দেন । তিনি বছর এই পদে থেকে বিভিন্ন জেলায় কাজ করে কুমিল্লা জেলায় জজ হিসাবে নিযুক্ত হন । ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি সরকারী কাজে নিযুক্ত থেকে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিচার বিভাগের সেক্রেটারি হন । ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্বেচ্ছায় সরকারী চাকরি থেকে অবসর নেন । ২৮ অক্টোবর , ২০০২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ