“হে আমার মেয়ে” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা”
তরুণী-যুবতীর মুক্তির শ্বেতপত্র ইসলাম ধর্মে নারী জাতি অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র তারা। পরম মর্যাদার অধিকারী। তাদেরকে ক্ষেত্রবিশেষে মূল্যবান সােনার টুকরাে এমনকি হীরকখণ্ডের সাথে তুলনা করা হয়েছে। জাহেলি যুগে যেখানে নারীর বেঁচে থাকার অধিকার ছিলাে না, নারী ভূমিষ্ঠ হওয়াকে যে সমাজে কৌলিন্য হিসেবে অলুক্ষণের প্রভাব এমনকি নারীজাতিকে যখন প্রাণী বলে স্বীকার করে নিতেও তাবৎ দুনিয়ার ঘেন্না হতাে; তখনই ইসলাম ও ইসলামের নবী বিশ্বখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে নারীকে মর্যাদার উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। আজকের সমাজের তথাকথিত তরুণী-যুবতীরা গড্ডলিকা প্রবাহে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েই যেন তৃপ্তির ঢেকুর গিলে থাকে। তথাকথিত সভ্যতার নীল রঙে যারা নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে ভালােবাসে; আধুনিক ফ্যাশনের নামে যারা নিজেকে অন্যের সামনে পণ্যের পসরা হিসেবে ফুটিয়ে তােলে, তাদের জন্য এক দরদী পিতার আর্তনাদ আজ তুলে ধরার প্রয়াস পাব। ঐ পিতা তার কলিজার টুকরাে কন্যাকে যেই খােলাচিঠি লিখেছেন, তা প্রতিটি তরুণী-ষােড়শী, যুবতী এমনকি প্রতিটি নারীর চেতনার জানালায়ই করাঘাত করতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস। এটি প্রতিটি নারীর জন্য হতে পারে মুক্তির শ্বেতপত্র। তাই বিবেকের আহ্বানে আমরা সেই খােলাচিঠিটি এখানে তুলে ধরছি।