“কিশোর মুসা রবিন- গোয়েন্দা কাহিনিসমগ্র – ৪” বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
ঝড়ের দ্বীপে:
স্টর্ম আইল্যাণ্ড । বেশি বড় না। হাজার হাজার বছর আগে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গেই যুক্ত ছিল, বাবার মুখে এর ইতিহাস শুনেছে। মিতু । তারপর ভৌগােলিক কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, ঘিরে ফেলেছে পানিতে। যেমন সুন্দর, তেমনি রহস্যময় । সাদা বালির সৈকত আছে, মিষ্টি পানির ঝর্ণা আছে, প্রচুর ঘাস। আছে, বড় বড় গাছ আছে, ভাঙা একটা দুর্গও আছে । পিকনিক করতে এই দ্বীপে এসে অদ্ভুত এক রহস্যে জড়াল। কিশাের গােয়েন্দা অনিক আবীর ইতু মিতু ও টিমি । জাহাজে করে আসা ডাকাতদের হাত থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ি ফেরাই কঠিন। কিজারভিলের আতঙ্ক
মারাত্মক পােকামাকড়, বিষাক্ত সাপ আর অ্যালিগেটরে ভরা জলাভূমির মাঝখানে দ্বীপের মত ছােট্ট একটা শহর কিজারভিল । প্লেন ছাড়া এখানে ঢােকার আর কোনাে পথ। নেই । এই শহরে ঢুকলেই পুরােপুরি বদলে যায় মানুষ । অঞ্জন, ফারুক আর ওয়াসিম অনুমান করল, মানুষগুলােকে বদলে। দেয়ার পেছনে অসীম ক্ষমতাশালী কোনাে কিছুর হাত রয়েছে । সেটা মানুষ নয় । বাঁচতে হলে ধ্বংস করে দিতে হবে সেটাকে । কিন্তু বাধা দেয়ার আগেই আক্রান্ত হলাে ওরাও।
মারাত্মক নেশা
তারপর, পরের বার ব্যথা শুরু হতেই চলে গেলাম দোকানদারের কাছে । খানিকটা ওষুধ চাইলাম। দিল । চলে। এলাম । আবার ব্যথা উঠলে আবার গেলাম। এভাবেই চলতে লাগল । প্রথমবারেই যদি বুঝতে পারতাম, ওটা হেরােইন, কিছুতেই খেতাম না আমি। যত ব্যথাই হােক, নেশার ফাঁদে পা দিতাম না। বুঝতে যখন পারলাম, অনেক দেরি হয়ে গেছে। তখন । গলায় জড়িয়ে গেছে হেরােইনের ফাঁস । ব্যথা ছাড়াও ওই জিনিস খেতে ইচ্ছে করে তখন । না খেয়ে থাকতে পারি। এটা যেই বুঝল শয়তানটা, দাম বাড়িয়ে দিল । যতবার যাই, ততবারই দাম বাড়ায়। এ রকমই করে ওই নেশা ব্যবসায়ীরা । ওরা মানুষ না। নরকের ইবলিস! প্রায় হাতজোড় করে মিনতি করে বলল জ্যাক-আমাকে বাঁচাও ভাই!