চেহারা কঠোর করে আমি ঘুরে দাঁড়ালাম। মোটা ফ্রেমের চশমার ফাঁকে উজ্জ্বল দুটো চোখ, উসকো-খুসকো চুল, সাদা টি-শার্টটার বাঁ পাশে হলুদ ঝোলের দাগ। কপাল কুঁচকে ফেলি আমি, চেহারা আরো কঠোর হয়ে যায় আমার। মোটা ফ্রেম ছাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। এবার তাকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আরো। তার চশমার বাঁ পাশে ডাঁটি নেই। অদ্ভুত কায়দায় আটকে আছে সেটা নাকের সঙ্গে। কানাটা বলে কি-আমি নাকি বিষন্ন করছি বিকেলটা। কিন্তু না শোনার ভঙ্গি আমার, ‘কিছু বললেন?’ ‘সম্ভবত ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ইচ্ছে আপনার। আমার বাবা পৃথিবীর অনেক কিছু দেখিয়েছেন আমাকে। কিন্তু একটা জিনিস কখনো দেখাতে পারেননি।’ মুখ টিপে হাসল ছেলেটা, ‘জিনিসটা কি জানেন?’ বিরক্তিমাখা স্বর আমার, ‘কী?’ ‘একটা মেয়ের মৃত্যু।’ ‘কী!’ কিছুটা শব্দ করে উঠি আমি। ‘ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে কিংবা লাফিয়ে গাড়ির নিচে পড়ে একটা মেয়ে মারা যাচ্ছে-এই জিনিসটা দেখার খুব শখ আমার।’ কানা বাবা মুচকি হাসে, ‘শখটা অনেকদিনের।’ রাগে পিত্তিটা জ্বলে যাচ্ছে আমার-কানাটা বলে কি! ইচ্ছে করছে লাফ দিয়ে ওই ছাদে গিয়ে কানাটার চোখ থেকে চশমাটা খুলে ফেলি আগে। তারপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেই ছাদ থেকে