‘তৃতীয় মীর’ বইটির সংক্ষিপ্তসার
উনিশ শতকে এক অসামান্য বাঙালি মুসলমান লেখকের নাম মীর মশাররফ হােসেন। স্বসমাজ ও সম্প্রদায়ের সীমাদ্ধতাকে তিনি যেমন জানতেন তেমনি সেখান থেকে সম্ভাবনাকে কীভাবে আবিষ্কার করতে হয় ধাপে ধাপে তিনি তাও শিখেছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের ত্রয়ী উপনাসের সব কটি যখন গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি তখন বিষাদসিন্ধু রচনা তার শিল্পঋদ্ধির অন্যতম মৌলিক প্রকাশ। বাঙালি মুসলিম পরিবারেই শুধু নয়, বাঙালির প্রায় সকল ঘরেই যে ধ্রুপদী এই উপন্যাস পঠিত ও আদৃত হয়েছিল তার প্রধান কারণ, সেখানে এক মানবিক কাঠামােই শুধু তিনি নির্মাণ করেননি, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিও তাতে পােক্ত করে দিয়েছিলেন। মীরের আত্মজৈবনিক রচনাসমূহ, তাঁর নাট্যও অন্যান্য রচনার মধ্যে যে জীবনতৃষ্ণা রয়েছে। জীবনকে গ্রহণ এবং তার রূপ ও রসকে আত্মস্থ করার যে শিল্পমানসতারমধ্যে সদা সক্রিয় থেকেছে তার তুলনা বিশ্বসাহিত্যেও খুব বেশি নেই। ব্যক্তি হিসেবে মীরের সীমাবদ্ধতা ও শিল্পী হিসেবে তাকে অতিক্রমের নিরন্তর চেষ্টা থেকে আমরা এক তৃতীয় মীরকে পাই। তিনিই এ গ্রন্থের উদ্দিষ্ট ও আলােচ্য।
সূচি
জগৎ পরাধীন, কিন্তু মন স্বাধীন……৯
বিষাদ-সিন্ধু: শতবর্ষ পরে………৫০
গাজী মিঁয়ার তৃতীয় নয়ন…….৮৩
মীরের আত্মজৈবনিক রচনা বিষয়ে সংশয়……১১৫
তাঁর নাট্যরচনা…………………..১৬১