“ক্যালিগুলা” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
কামুর এই নাট্যগ্রস্ত জীবনে ক্যালিগুলা’ বিরাট জায়গা নিয়ে আছে। তার প্রথম দিকে নেতিবাদী নিহিলিস্ট পর্বের নাটক বলে গণ্য করা হয় ক্যালিগুলা’-কে। কাম এই নাটকে যাই বলতে চান, ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত যে হিংস্র রক্তক্ষয়ী উন্মাদনা সারা পৃথিবীকে ভাসিয়ে নিয়েছিল, ফ্যাসিবাদ তারই এক রাজনৈতিক দর্শন খুঁজে পাওয়া যায় এই নাটকে।
১৯৩৮-এ লেখা, ১৯৪৫ আর ১৯৫৮-তেও পরিমার্জিত এই নাটকের উপাদান সংগৃহীত হয়েছিল মূলত সুয়েততানিয়াস-এর লাইভস অব দি টুয়েলভ সিজারস’ থেকে। সুয়েতলানিয়াস অবশ্য ক্যালিগুলার আচরণকে বলেছেন মৃগীরােগ, কাম সেখানে এনেছেন তার নিজের ভাষ্য। | দ্রুজিলার মৃত্যু তাঁকে অ্যাবসার্ড কী সে ব্যাপারে আগ্রহী করে তােলে, ভাবতে বাধ্য করে যে মানুষকে মরতে হয় এবং সে সুখী নয়। এবেরতত-প্রযােজনার অনুষ্ঠানলিপিতে কাম একটি নােট রেখেছিলেন, তাতে এই নাটক সম্পর্কে কামর নিজের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। সেখনে কাম লিখেছিলেন, ‘Caligula is faithless towards humanity in order to keep faith with himself. He consents to die, having learned that no man can save himself alone and that one cannot be free by working against mankind. But at least he will have rescued sum souls, including his own and that of his friend scipio, from the dreamless sleep of mediocrity’।যাই বলুন কাম, যাই ব্যাখ্যা হােক ‘ক্যালিগুলা’-র পাঠক বা দর্শক অনায়াসেই সেই নাটকে খুঁজে নিতে পারেন স্বৈরাচারের ভয়ঙ্কর বিকৃত চেহারা, সেটা কিছু কম জরুরি নয়।