“জার্মিনাল” বই এর ফ্লাপের লেখা
সমাজের নীচের তলার মানুষ যখন শুধু বেঁচে থাকতে বাধ্য হয় বলেই বেঁচে থাকে, লড়াই করতে করতে বাস্তবের কঠিন রুক্ষ দেয়ালে তার পিঠ ঠেকে যায় এমনভাবে যে সে জীবন শুধুই অন্ধকারের, তখন সেই ছবি ঠিক কীরকম? জার্মিনাল সেই অন্ধকারের ছবি। সেখানে আলো খুব কম । কয়লাখনির অভ্যন্তরে টিমটিমে বাতির আলোয় দেয়ালে পড়ে ভূতুড়ে ছায়া। ছায়ার মানুষগুলো যখন ভূগর্ভ থেকে উঠে আসে, ঘরে ফেরে ছুটির পর— সে ঘরে আলো জ্বলে বটে, কিন্তু সে আলোতেও শুধু অন্ধকারই প্রকট। সে তমসা দারিদ্র্যের, শোষণের, বঞ্চনার আর যন্ত্রণার। জার্মিনাল ফ্রান্সের কয়লাখনির শ্রমিকদের সেই নিত্যদিনের যাপনচিত্র । তবে এই কাহিনির শেষে কোথাও যেন সামান্য আলোর ইশারাও থাকে। সূর্যের রশ্মি এসে পড়ে বীজের ওপর। অঙ্কুরোদ্গম হবে জীবনের। ভেসে আসে বেঁচে থাকার গান। সর্বহারা মানুষ ফসল কাটার স্বপ্ন দেখে। মানবিক অধিকারবোধের ধারালো কাস্তেতে শান দিতে দিতে। রোদ্দুরে পিঠ দিয়ে। সকলে। একসঙ্গে।