“তুমি আছো তাই” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
ডাক্তারের কথা শুনে রাফিদ বলল, “বড় একটা সমস্যা হয়েছে আমার? হ্যাঁ মনে পড়েছে। ব্যাপারটা কাউকে না বলতেও অনুরােধ করেছিলাম আমি। তাই না?”
“হা হা, এটাও তাে মনে আছে আপনার! ভুলে যাননি এটা।”
হঠাৎ চোখ-মুখ কুঁচকে ফেলল রাফিদ । তারপর দু হাত দিয়ে নিজের মাথাটা চেপে ধরল, “ডক্টর, কী যেন অনুরােধ করেছিলাম আপনাকে!”
রােহানের হাত থেকে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে কবিরের ঘরের দিকে গেল উর্বি । কিন্তু দরজার নবে হাত দেওয়ার আগেই খুলে গেল দরজাটা। হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে কবির। না, আপনারা যা ভাবছেন, তা না । ট্রাওজার আর একটা টি-শার্ট পড়ে আছে ও।
উর্বি কী একটা বলতে যাচ্ছিল, তার আগেই চমকে উঠে পেছনে তাকাল । চিৎকার করতে করতে এদিকে আসছে রেজা।
রাশীকের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হেসে মিমি বলল, ‘পারব তাে আমরা?’ ছােট্ট করে নিঃশ্বাস ছেড়ে রাশীক বলল, “তাের কী মনে হয়?” ‘সবকিছু স্বপ্নের মতাে মনে হচ্ছে।”
‘এটা তাে স্বপ্নই, কেবল তার বাস্তবায়ন চাচ্ছি আমরা।’ কবিতা তার বান্ধবীকে নিয়ে ঘরে ঢুকল আমার, ‘ও হচ্ছে নিপূণ, আমার বান্ধবী। আপনার সঙ্গে কথা বলবে ও।’
নিপূণের দিকে তাকালাম আমি। কিছুটা রূঢ় গলায় ও বলল, ‘কবিতা আপনার কথা এতবার বলেছে, আমি তাে ভেবেছিলাম আপনি মহাপুরুষের মতাে কেউ একজন।’
‘না, আমি মহাপুরুষদের মতাে কেউ নই, সাধারণের চেয়েও সাধারণ।’ ‘তাই যদি মনে হয় তাহলে এরকম ভড়ং ধরার মানে কী?’