“চালাক গোয়েন্দা চালাক খুনি” বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
সােফায় বসলেন মহিলাটি। রাকিবকে ইশারা করল নুহাদ। কাধের ব্যাগ থেকে নােট বুক আর কলম বের করে। রেডি হলাে ও। সরাসরি এবার মহিলার চোখের দিকে তাকাল কিশাের গােয়েন্দা নুহাদ, “যিনি মারা গেছেন, তিনি আপনার কী হন?
‘আমার বস, আমি ওনার পিএস । তিনি কিন্তু মারা যাননি। আমি মনে করি—
কথাটা কেড়ে নিল নুহাদ আপনি মনে করছেন তাকে মেরে ফেলা হয়েছে, এই তাে?
“জি। ভীত কণ্ঠে বললেন মহিলাটি আমার বসও প্রায়ই বলতেন, কেউ একজন তাকে মেরে ফেলবে একদিন। সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলতেন, যাই কিছু হােক না কেন তার। শরীরের যেন কোনাে পােস্টমর্টেম না করা হয়। লাশটা এখন কোথায় আছে?
বাসার সামনের বড় হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। ভীষণ গরম পড়েছে তাে।
বাঁ হাত দিয়ে কপাল চুলকাতে চুলকাতে নুহাদ বলল, “কিন্তু এখানে আসার আগে টিভির স্ক্রলে দেখলাম হার্ট ফেইলর। কিছুটা নিচু করে ফেলল সে গলার স্বর,। অনেকগুলাে টিভি চ্যানেলেই দেখাচ্ছে, একই জিনিস দেখাচ্ছে।
“আসলে তা নয়, আমার বস সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। হার্ট ফেইলরে তার মৃত্যু হতে পারে না।
উঠে দাঁড়াল নুহাদ, সঙ্গে সঙ্গে রাকিবও। ভেতরে ঘরের দরজার দিকে তাকিয়ে বলল, “সম্পূর্ণ বাসাটা একপলক দেখতে পারি আমরা?