“কিশোর মুসা রবিন সমগ্র-৩”বইটির ১ম ফ্লাপের কিছু কথা:
ভূতের গলি : আমার নাম মুসা আমান। আমার প্রধান কাজ ভয় দেখানাে। ছােট ছেলেমেয়েদের ভয় দেখাতে আমার খুব ভালাে লাগে। প্রচণ্ড ভয়ে ওরা যখন কুকড়ে যায় বা গলা ফাটিয়ে চেচায়, আমি তখন ভীষণ আনন্দ পাই। বাবা বলে, আমার মধ্যে নাকি নিষ্ঠুরতার ভাগ বেশি। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থেকে টিভিতে হরর মুভি দেখি। দৈত্য-দানবেরা যখন মানুষকে ধরে কুচি কুচি করে কাটে কিংবা ছিড়ে খায়, আমি। তখন হাসি, খুব মজা পাই… কঙ্কাল বাশি বাজায় না : কবরস্থানে গিয়ে পােশাক পরা এক। কঙ্কালকে হেটে আসতে দেখল তিন গােয়েন্দা কিশাের মুসা। রবিন। তারপর থেকে ঘটতে শুরু করল অদ্ভুত সব ঘটনা ।। গানের তালে তালে পা ঠুকতে লাগল বায়ােলজি ক্লাসের নীরব কঙ্কাল, স্কুলের ছেলেমেয়েরা ভালােবেসে যার নাম রেখেছে কঙ্কাল মামা। বাঁশি বাজানাে শুরু করল ওটা। কিশাের বলল, কঙ্কাল কখনও বাঁশি বাজায় না! অন্য কোনাে রহস্য আছে!’ মূর্তি রহস্য : পাখির বাসার নিচে অদ্ভুত এক মেসেজ কুড়িয়ে পেল রাজুর সহকারী অপু, তাতে লেখা—গভীর রাতে আলাের সঙ্কেত দেখানাে হবে পােড়ােবাড়ির টাওয়ার থেকে। ওখানে মাটির নিচের ঘরে নাকি মাঝে মাঝেই ভূত দেখে লােকে। এক রাতে ওরা নিজেরাও টাওয়ার থেকে রহস্যময় আলাের সঙ্কেত দেখতে পেল। কৌতহল দমন করতে না পেরে রাতের অন্ধকারে রওনা হলাে গা-ছমছমে রহস্যময় পােড়ােবাড়িতে। মায়ানেকড়ে বেড়াতে যায় না : আবার মনস্টার উড লেকে বেড়াতে এলাে তিন গােয়েন্দা কিশাের মুসা রবিন। ক্যাম্পে পৌছতেই বিকট গর্জন করে উঠলেন জাফর স্যার। রাতের বেলা জঙ্গলে বেরােনাে নিষেধ। মুসা বলল, “মিস্টার উলফ মায়ানেকড়ে হয়ে গেছেন! দিনের বেলা মানুষের রূপ ধরে থাকেন, রাতে হয়ে ওঠেন ভয়ঙ্কর পিশাচ। কিন্তু মানতে নারাজ কিশাের।