“চন্দ্রাহত” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
ভরা জোসনার রাতগুলােতে আমি ঘুমাতে পারি না। শেষ রাতের দিকে খুব বিচিত্র কিছু স্বপ্ন দেখে আমার ঘুম ভেঙে যায়। চাঁদ যখন পশ্চিম আকাশে ডুবে যাবার প্রস্তুতি নেয়, তখন মনে হয় বারান্দার বাইরে কিছু একটা আমাকে ডাকছে, ভীষণভাবে ডাকছে.. লালচে-রুপালি রঙের অদ্ভুত সুন্দর চাঁদ, ডুবে যাবার আগে নিজের অপার্থিব জোছনা ছড়িয়ে দেয় পার্থিব জগতের বুকে। তারপর খুব ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে শুরু করে মিশকালাে অন্ধকারে।
আমি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। আমি চোখের পাতা ফেলতে ভুলে যাই। আমার বুকের মাঝে সবকিছু এলােমেলাে হয়ে যায়। মনে হয় সহস্র সহস্র বছর আগেও ঠিক এভাবেই আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম কোন উঁচু পাহাড়ের চাতালে, পাহাড়ের নিচে ছিল গভীর অরণ্য। লক্ষ বছরের প্রাচীন চাঁদটা ঠিক এভাবেই ডুবে যাচ্ছিল, আমার বুকের মাঝে গভীর হাহাকার তৈরি করে,..
আমি চন্দ্রাহত মানুষ। চন্দ্রাহত লেখক। ভরা জোছনার রাতগুলিতে আমি এলােমেলাে হয়ে যাই।
সেই এলােমেলাে মুহুর্তের গল্পগুলাে নিয়ে এই বই, “চন্দ্রাহত”.