“হিচকক-ত্রুফো কথোপকথন” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
“দুই তুখোড় মেধাবী মহাশিল্পী মুখোমুখি হলে কী দুর্ধর্ষ আলাপই না জমে উঠতে পারে! এমনটাই ঘটেছিল গত শতাব্দীর ষাট দশকের শুরুর দিকে। মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই স্বতন্ত্র ধারার ফিল্মমেকার-‘মাস্টার অব সাসপেন্স’খ্যাত আলফ্রেড হিচকক ও ‘ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভ’ ফিল্ম-মুভমেন্টের অগ্রসেনা ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো। নিয়ম করে, পুরো একটি সপ্তাহ তারা আলাপ জমিয়েছিলেন সিনেমা নিয়ে। তাতে ‘বুড়ো ওস্তাদ’ হিচকক ছিলেন কথকের ভূমিকায়, আর তরুণ তুর্কি ত্রুফো ছিলেন নাছোড়বান্দা শ্রোতা। সেই সুদীর্ঘ আলাপে উঠে এসেছে হিচককের সুসমৃদ্ধ সিনেমাযাত্রার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয়আশয়। উঠে এসেছে সামগ্রিম সিনেমা প্রসঙ্গও। তাতে ক্ষণে ক্ষণে হিচকক হয়ে উঠেছেন প্রবল আত্মসমালোচক, আর বাক্যে বাক্যে জট খুলেছেন নানা অজানা ও রহস্যময় অধ্যায়ের।
হিচকক-ত্রুফোর এ আলাপনটি পরবর্তীকালে ‘হিচকক-ত্রুফো’ নামে মুদ্রিত হয়ে, সিনে-দুনিয়ার এক মহার্ঘ্য টেক্সটবুক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমরা গর্বের সঙ্গে জানাতে চাই, সেই আলাপনের সর্বপ্রথম ও পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদ এটিই।
সিনে-পাঠক/সিনে-দর্শক, সিনেমার এই নিগূঢ় ও ঋদ্ধ ভুবনে আপনাকে বিনম্র স্বাগত…”
সূচি :
ভূমিকাপর্ব । ৯-৩২
স্বাগতম, দুই মহান ওস্তাদের আলাপনে । ৯
পরিমার্জিত সংস্করণের ভূমিকা/ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো । ১১
আমার হিচকক/ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো । ১৫
হিচকক-ত্রুফো কথোপকথন । ৩৩-৪২৪
পরিশিষ্ট । ৪২৫-৪৪৮
আলফ্রেড হিচকক ফিল্মোগ্রাফি । ৪২৫
অন্যের সিনেমায় হিচককের ভূমিকা । ৪৩৯
পরিচয়পর্ব । ৪৪১