“রোগমুক্তি হোমিও বিধান” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
সম্পূরক, ক্রিয়ানাশক, উপশম, বৃদ্ধি, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, নিষেধ, বিরােধী, কাতরতা, ৫০ সহস্রতমিক শক্তি, এই বইয়ের পাঠক-পাঠিকাদের চিকিৎসার জন্য আলােচনা করেছি। সংক্ষেপে রেপার্টরি আলােচনা করেছি। হ্যানিম্যান বলেছেন যে, কোনাে রােগীর রােগ নয় চিকিৎসাকালে তার শারীরিক ও মানসিক লক্ষণের উপরই বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে। মনই মানুষের সুখ-দুঃখের ভােক্তা। যে কোনাে কারণে অসুস্থ হােক না কেন প্রথমে মনটি অসুস্থ হয়। যদি কেহ হিংসা বা কটুক্তি করে তা হলে প্রথমে মনােকষ্ট, পরে কান্না এবং সারা শরীর কম্পন এমনি কি মূৰ্ছা হয়ে যেতে পারে। রােগের গতি মন হতে শরীরে, সূক্ষ্ম হতে স্কুলের ভেতর। হতে বাইরে যায়। বইটি যাতে সবাই অনায়াসে সহজ-সরল ভাষা বুঝতে পারে তার চেষ্টা করেছি। কারণ, একজন রােগীকে যখন ওষুধ দেওয়া হয়, তখন ইচ্ছা, অনিচ্ছা, উপশম, বৃদ্ধি, ক্রিয়ানাশক এবং বিরােধীর সম্পর্কে জানা থাকলে চিকিৎসাকালীন বিঘ্ন ঘটে না। রােগীকে আরােগ্য করাই হােমিওপ্যাথির মূল নীতি।