“দ্য গডফাদার” দ্বিতীয় ফ্ল্যাপের অংশ:(প্রথম ফ্ল্যাপের পর) দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এর সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায়। যা দীর্ঘদিন শীর্ষ স্থান দখল করে ছিল)তিনি অন্যান্য লেখক যেমন ব্রুস জ্যা (Bruce Jay), ফ্রেডম্যান (Friedman) এদের সাথে মেনস ম্যাগাজিন, পাল্প ম্যাগাজিন, ট্র্য একশান, এবং সােয়াঙ্ক ম্যাগাজিন গুলাের কোম্পানি লাইনে কাজ করেন ।পুজো, ‘মারিও ক্লেরি (Mario Cleri) ছদ্মনামে ট্র্য একশান ম্যাগাজিনের জন্য ওয়ার্ল্ড ওয়ার টু এ্যডভেঞ্চার ফিচারস’ লেখেন। পুজোর সবচেয়ে জননন্দিত সৃষ্টি দ্য গডফাদার’ প্রথম ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি পাল্প ম্যাগাজিনে কাজ করার সময়ে মাফিয়া সম্পর্কে বাস্তব ঘটনা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ‘দ্য। গডফাদার’ রচনা করেন। পরে তিনি প্রখ্যাত টেলিভিশান এবং রেডিও উপস্থাপক ল্যারি কিং এর সাথে এক ইন্টারভিউতে দ্য গডফাদার’ সম্পর্কে বলেন যে তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল অর্থোপার্জণ। এর আগে তার প্রথম দুটি বই প্রশংসিত হলেও ব্যবসায়িক সফলতার মুখ দেখেনি। তাই পাঁচ সন্তানের জনক, সরকারি কেরানী পুজো এমন কিছু লেখার জন্য উদগ্রীব ছিলেন যা বিরাট অংশের পাঠকগােষ্ঠীকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে। এবং অবশেষে ‘দ্য গডফাদার’ (দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এর সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায় যা দীর্ঘদিন শীর্ষ স্থান দখল করে ছিল) এর মাধ্যমে অভীষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হন। পরবর্তীতে তিনি উপন্যাসটিকে চলচ্চিত্রে রূপ দেন । চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপােলা। ছবিটি ১১ টি ক্যাটাগরিতে অস্কার মনােনয়ন লাভ করে এবং তিনটিতে জয়ী হয়। পুজো সেরা চিত্রনাট্যকারের পুরষ্কার জেতেন। পরে পুজো এবং কপােলা জুটি গডফাদারের সিকুয়েল দ্য গডফাদার পার্ট টু’ এবং ‘দ্য গডফাদার পার্ট থ্রী তৈরি করেন। এরপরে পুজো ১৯৭৪ সালে ‘আর্থকোয়েক ছবির খসড়া স্ক্রীপ্টের কাজ শুরু করেন, কিন্তু তিনি তা শেষ করতে পারেননি ‘দ্য গডফাদার পার্ট টু’ এর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কারনে। পুজো, রিচার্ড ডােনারস এর ‘সুপারম্যানঃ দ্য মুভি’ ছবিটির সহলেখক ছিলেন এবং তিনি। ‘সুপারম্যান-টু’ এর আসল খসড়ার ও সহলেখক ছিলেন। তিনি এছাড়াও ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ টাইম টু ডাই’ এবং ১৯৮৪ সালের আরেকটি কপােলা মুভি ‘দ্য কটন ক্লাব’ এরও সহলেখক ছিলেন। পুজো মাফিয়া ট্রায়ােলজির শেষ বই ‘ওমের্তা’ (এর আগের দুটি ‘দ্য গডফাদার’ এবং ‘দ্য সিসিলিয়ান’)-এর প্রকাশ দেখে যেতে পারেননি। তার মৃত্যুর আগেই তিনি ‘ওমের্তা’র পান্ডুলিপি শেষ করেন এবং ‘দ্য ফ্যামিলি’র অসমাপ্ত পান্ডুলিপি কার্লা জিনাে সমাপ্ত করেন। পুজোর মৃত্যুর পর বই দুটি যথাক্রমে ২০০০ এবং ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। পুজো ১৯৯৯ সালের ২ জুলাই। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরন করেন। তার পরিবার এখনও নিউ ইয়র্কে বসবাস করছেন।