জনপ্রিয় ৪টি ইসলামি কবিতার রকমারি কালেকশন

৳ 690.00

লেখক
প্রকাশক
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৫০১
দেশ বাংলাদেশ

দিওয়ান-ই-শামস-ই-তাবরিজ:বইয়ের ভূমিকা অধ্যাপক রেনল্ড নিকলসন সম্পাদিত ও ভাষান্তরিত ‘দিওয়ান ই শামস্‌ ই তাবরিজ’ গ্রন্থটি সুহৃদ জুনায়েদ ১৯৭৭ সালে লন্ডনে সংগ্রহ করেন । তাঁর সমৃদ্ধ সুঠি সাহিত্য সংগ্রহের মধ্যে এই বইটির আমি খোঁজ পাই। প্রথম থেকেই বইটিকে সমকালীন বাঙালী পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করতে আমি প্রলুব্ধ ও তাড়িত হই। কারণ প্রকৃতভাবে সুফিবাদ বাংলাদেশে উপস্থাপিত হচ্ছে না, আমরা কেবল এর বিকৃত রূপের সঙ্গে পরিচিত । এটিকে ভাষান্তর করার জন্য অনেকের কাছে বিফলে ঘোরাফেরা করার পর মৌলানা আ.না.ম. মাকছুদ আলী, প্রবীর চন্দ, দিলরুবা মিজু, মারুফা বেগম এবং হাবিবুল ইসলাম বাবুলকে সেটি সমার্জিত করতে দিই। তাঁদের মূল্যবান অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি। ভূমিকার কবিতাটি প্রবীর চন্দ কর্তৃক আনুপূর্বিক রূপান্তরিত। বইটি মুদ্রণের সকল পর্যায়ে হাবিবুল ইসলাম বাবুলের সহযোগিতা পাই সবচাইতে বেশি। প্রকাশক সৈয়দ ফয়েজুর রহমান ও সৈয়দ রহমত উল্লাহরও ধন্যবাদ প্রাপ্য।
কবিতাগুলো অনুবাদ জুন ১৯৯৭ সালের দিকেই শেষ হয়ে যায়। তারপর গ্রন্থটি কম্পোজ শুরু হয়। কিন্তু অভাবনীয়ভাবে এই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে শাহবাজী সিলসিলার গদিনশিন সৈয়দ হোসেন শাহবাজী ৯ আগস্ট ১৯৯৭ আমাকে The Way of passion গ্রন্থটি দেন। আমি চমৎকৃত হয়ে লক্ষ করি যে, বইটি প্রথম পরিচ্ছেদ সুন্দর একটি ভূমিকা হিসেবে কাব্যগ্রন্থটিতে সংযোজিত হতে পারে। পাঠকেরাও হয়তো স্বীকার করবেন যে, কাব্যগ্রন্থটির একটি প্রেক্ষিত এন্ড্রু হার্ভের উদ্ধৃতি দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে।
অধ্যাপক নিকলসন বলেছেন, রুমীর কবিতার রস গ্রহণ করতে হলে আখ্যান, কথোপকথন , ধর্মবিষয়ক বক্তব্য, কোরানের অংশ এবং দার্শনিক তত্ত্ব অতিক্রম করতে হবে। কাব্যের ভাষান্তর করা প্রকৃত অর্থে সম্ভব নয়। দেশকাল ও ভাষার ব্যবধান অতিক্রম করে সম্পূর্ণ নতুন এক পাঠকশ্রেণীর কাছে রুমীকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা একপ্রকার ধৃষ্টতা। তবে হার্ভে বলেছেন, বর্তমানকালে রুমীকে জানা খুবই প্রয়োজন। তাঁর বক্তব্য পরের পরিচ্ছেদে দ্রষ্টব্য।
পুনরায় উল্লেখ করছি, আমি কবি নই। তবুও যাঁর কৃপায় পঙ্গও গিরিলঙ্ঘন করে তাঁর উপরর ভরসা করেই আমি এই দুরূহ কাজে হাত দিয়েছিলাম। যদি কিছুটাও সফল হয়ে থাকি সেটা তাঁরই কৃপা।
রুমীর অন্যতম এই কাব্য-সংকলন ভাষান্তরের মাধ্যমে ইরানের গোলাপবাগানের ঘ্রাণ যদি বাংলার সুমিষ্ট ইক্ষুক্ষেত্রে ভেসে আসে তবেই আমাদের সার্থকতা।
সৈয়দ খলিলউল্লাহ

১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী, সুরকার ও প্রবন্ধকার। নজরুলের বাল্যকাল কেটেছে দুঃখ-দুর্দশায়। তাই তাঁর ডাকনাম ছিলো দুখু মিয়া। তাঁর বৈচিত্র্যময় শিক্ষাজীবন শুরু হয় গ্রামের মক্তবে। পিতৃহীন হওয়ার পর তিনি পড়ালেখা ছেড়ে যোগ দেন লেটোর দলে, যেখান থেকে তিনি কবিতা ও গান রচনার কৌশল রপ্ত করেন। পরবর্তীতে এক বছর ময়মনসিংহের দরিরামপুর হাই স্কুলে পড়ে পুনরায় চুরুলিয়ায় রানীগঞ্জের শিয়ারসোল রাজ স্কুলে ভর্তি হন, এবং সেখানে তিন বছর অধ্যয়ন করেন। প্রবেশিকা পরীক্ষার আগেই তাকে পড়ালেখা ছাড়তে হয় যুদ্ধে যোগদানের জন্য। যুদ্ধের দিনগুলোতে নানা জায়গায় অবস্থান করলেও তার করাচির সৈনিকজীবনই উল্লেখযোগ্য, কেননা সেসময়েই তার প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায় ‘বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী’ নামক গল্প প্রকাশের মাধ্যমে। কাজী নজরুল ইসলাম এর বই সমূহ’র বিষয়বস্তু বিবিধ। তবে কাজী নজরুল ইসলাম এর বই-এ সমকালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক যন্ত্রণা এবং সাম্যবাদের ধারণা প্রকটভাবে স্থান করে নিয়েছে। রাবীন্দ্রিক যুগে তার সাহিত্য প্রতিভা উন্মোচিত হলেও তার সৃষ্টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। কাজী নজরুল ইসলাম এর বই সমগ্র এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ‘রিক্তের বেদন’, ‘দোলনচাঁপা’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘সাম্যবাদী’, ‘সর্বহারা’, ‘প্রলয়শিখা’ ইত্যাদি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী নজরুল ‘সাপ্তাহিক লাঙল’, দ্বিসাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ধূমকেতু’র সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ