“উইথ ক্লাইভ ইন ইন্ডিয়া” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
একজন তরুণ কেরানি হিসেবে ক্লাইভের ভারতে অবতরণ এবং চাকুরি জীবনের শেষের মাঝখানের সময়টি অত্যন্ত ঘটনাবহুল এবং সমালােচনামুখর বা সঙ্কটময় ছিল। শুরুতে ইংরেজরা বণিক হিসেবে দেশীয় রাজাদের আশ্রয়ে ছিল। অবশেষে ওরা বাংলা এবং দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ এলাকার প্রভূ হয়েছিল। লেখক সেই অস্থির সময়ের বিভিন্ন ঘটনাবলি, একের পর এক দ্রুত ঘটে যাওয়া যুদ্ধ এবং অবরােধের সঠিক এবং পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরেছেন। আবার সেই সাথে তিনি রুদ্ধশ্বাস এডভেঞ্চার এবং বীরত্বের কাহিনি মিশিয়ে বইটিতে একটি জীবন্ত আগ্রহ সৃষ্টি করেছেন।
…মির মদনের মৃত্যুর ঘটনাটি সিরাজউদ্দোলার ভাগ্যের উপর একটি প্রচণ্ড আঘাত হানলাে। যখন এই সাহসী এবং বিশ্বস্ত সেনাপতির মৃত্যুসংবাদ তাঁর কাছে পৌছলাে, তখন তিনি আতঙ্কিত হয়ে উঠলেন। অনেকদিন ধরে তিনি মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে সন্দিহান ছিলেন, কিন্তু এখন আর কেউ নেই যার উপর নির্ভর করবেন। বাধ্য হয়ে তাকেই ডেকে পাঠালেন এবং অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাষায় তাকে স্মরণ করিয়ে দিলেন, তাঁর পিতার কাছে মিরজাফর কী কী সুবিধা লাভ করেছিলেন; এবং তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত থাকার জন্য তিনি মিরজাফরকে সর্নিবন্ধ অনুরােধ করলেন। তারপর তার মুকুট মাটিতে রেখে তিনি বললেন: “জাফর, আপনাকে অবশ্যই এই মুকুটের মর্যাদা রাখতে হবে।”
জাফর তার আনুগত্য এবং আন্তরিকতার নিশ্চয়তা দিয়ে উত্তর দিলেন, এবং জীবন দিয়ে তার সিংহাসন রক্ষার শপথ নিলেন। তারপর ঘােড়ায় চড়ে চলে গেলেন, এবং সাথে সাথে ক্লাইভের কাছে একজন দূত পাঠিয়ে কী ঘটেছে তা জানিয়ে অবিলম্বে তাকে আক্রমণ করার জন্য তাড়া দিলেন…