“শিশু শিক্ষা, শিশুবিজ্ঞান ও শিশু অধিকার” বইটি প্রধানত পাঁচটি অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রথম অধ্যায়ে শিশুবিজ্ঞান, শিশুর আচরণ, বিষণœতা ও কিশোর অপরাধ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে শিশুর শিক্ষা, নিরাপত্তা, শিশুদের প্রতি শিক্ষক ও অভিভাবকদের দায়িত্ব বর্ণিত হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে শিশুদের অধিকার ও শিশুশ্রম নিয়ে কিছু কথা। চতুর্থ অধ্যায়ে আমাদের দেশের প্রচলিত প্রাথমিক শিক্ষার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। পরিশেষে শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু পদ্ধতির উল্লেখ রয়েছে। শিশুর ৯০ শতাংশ শিক্ষাবিষয়ক কার্যক্রম তার প্রথম বছরগুলোতেই সম্পন্ন হয়। একটি শিশু শারীরিক পরিপূর্ণতা নিয়ে জন্মায় না তাই ধ্বনিমালার মধ্যে ব্যঞ্জনধ্বনিগুলো সে প্রথমে উচ্চারণ করতে থাকে। কেননা স্বরধ্বনির চেয়ে এগুলো উচ্চারণ অনেকটাই সহজ। দশমাস বয়স থেকেই একটি স্বাভাবিক শিশু বস্তু বা প্রাণীকে নির্দেশ করার মতো শব্দ উচ্চারণ করতে পারে। শিশুকালের প্রথম আট বছর অত্যন্ত জরুরি; বিশেষ করে প্রথম তিন বছর শিশু তাড়াতাড়ি শেখে যদি তারা পরিমিত ভালোবাসা, উৎসাহ ও মানসিক উদ্দীপনা পায়। শিশুর আবেগকে বুঝা, সে বয়স অনুযায়ী সঠিক আবেগ প্রকাশ করছে কি না, সঠিক আবেগ নিয়ে বড় হচ্ছে কি না, তাদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি হচ্ছে কি না তা জানাই হচ্ছে পেরেন্টিং।