“হৃৎপিণ্ড ভরতি ভেজা পলল” বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া
এক নক্ষত্র শিকারির গল্প। সেই কোন কৈশােরে ভাটফুলের জঙ্গলে খরগােশ ধরতে গিয়ে ধরেছিল রােদুর। আসলে কি ধরতে পেরেছিল? নাকি বিভ্রম? জীবনটাই কি একটা বিভ্রম? ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে চোখের সমুখে রােদুরের রং নীল হয়ে যায়, অন্ধকারে ডুবে যেতে যেতে আঁধার পিঙ্গল রং ধারণ করে। কী অপরূপ কষ্ট আর সুখ আর স্বপ্ন আর অবিরাম হেঁটে চলা। দিক-দিগন্তে কেবলই ছন্দতরঙ্গ। ভালাে লাগে না কিশােরের । তাই শুরু হয় ছন্দমুক্তির পথে রুদ্ধশ্বাস এক অভিযাত্রা। কোথায় যেন চলে যায় ধুলাে ভেঙে ধুলাের মুসাফির এক। ধুলােয় ভরে যায় উৎক্ষিপ্ত হৃৎপিণ্ড। তারপর বৃষ্টি নামে, ধুলাে পরিণত হয় ভেজা পললে। একটা ঘােরের ভেতর যেন একটা কাব্যিক ক্রনিকেল লিখে গেছেন কবি: তাতে শৈশব, বয়ঃসন্ধি, যৌবন, প্রেম, কাম, স্বপ্ন, জোৎস্না, কুয়াশা, কবিতা, রক্ত…বিচিত্র উৎস থেকে আহরণ করা বাস্তব, পরাবাস্তব, বিমূর্ত সব চিত্রকল্প, রূপক, ঝাঁঝ, দ্যুতি…আর কবিতা যতই এগিয়েছে ততই এক ধরনের প্রমত্তভাব।