মা-বাবা হারা অনাথ বালক পিপ। তিন কুলে তার কেউ নেই, শুধু একটি মাত্র বােন ছাড়া। বােনের পরিবারেই সে আশ্রিত। বােনটি আবার খুব মুখরা স্বভাবের। পিপের উপর তার নির্যাতন ছিল একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। পিপের ভগ্নিপতি কিন্তু খুবই ভালাে মানুষ। পিপের প্রতি তাঁর ছিল যথেষ্ট সমবেদনা। পিপ একদিন সন্ধ্যেবেলায় তার মা-বাবার কবরের কাছে খেলতে গিয়ে জেল-পালানাে এক কয়েদির মুখােমুখি হয়। কয়েদির জন্য বাধ্য হয়ে সে খাবার চুরি করে বােনের বাড়ি থেকে। এ ঘটনায় একটা বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । এ ঘটনার কিছুদিন পরে গ্রামেরই এক চিরকুমারী, কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা পিপকে তার বাড়িতে গিয়ে খেলাধুলার আহ্বান জানায়। সেখানে সে এস্টেলা নামক এক বালিকার সাথে পরিচিত হয়। এ বালিকা পরবর্তীতে পিপের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এর মাঝে হঠাৎ করেই একসময় পিপের সামনে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায়। সেই জেল-পালানাে কয়েদি পিপকে ভদ্রলােক বানানাের জন্য সব রকম দায়িত্ব গ্রহণ করে। পিপ চলে আসে শহরে সেখানে সে পরিচিত হয় সমাজের নানা স্তরের মানুষের সাথে। চলতে থাকে এস্টেলার সাথে ভালােবাসার টানাপােড়েন। পিপ তখন ধনাঢ্য হওয়ার স্বপ্নে বিভাের। হঠাৎ করেই একদিন পিপের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়। ধরা পড়ে জেল-পালানাে আসামি। জেলখানায়ই মৃত্যু হয় তার আর পিপের স্বপ্ন উবে যায় কপূরের মতাে। উপন্যাসে যেমন আছে হাস্যরস, তেমনি ব্যথা বেদনার সংঘাত আর নাটকীয়তা। বিচিত্র সব মানুষের আনাগােনায় পূর্ণ এ কাহিনি।