কাহিনী সংক্ষেপ :: নিকৃষ্টকে নিকৃষ্টতমের হাত থেকে রক্ষা করাই ওদের কাজ। প্রাক্তন আর্মি-রেঞ্জার, টাকার ওয়েইন এবং ওর পার্টনার, বেলজিয়ান শেফার্ড কেইনকে এ-কারণেই চেনে সবাই। রাশিয়ান বিলিয়োনিয়ার, বোগদান ফেদোসিভকে গুপ্তআততায়ীর হাত থেকে রক্ষা করার পর, রাতের আঁধারে নতুন এক মিশন পেল ওরা…সিগমা কমাণ্ডার, পেইণ্টার ক্রোয়ের কাছ থেকে!
আরেক রাশিয়ান বিলিয়োনিয়ার, প্রখ্যাত বিজ্ঞানী আব্রাম বুকোলভকে বের করে আনতে হবে রাশিয়া থেকে। কিন্তু জানে টাকার, কাজটা এত সহজ হলে ওদেরকে দরকার হত না সিগমার।
খেয়ালি বিজ্ঞানীর সঙ্গী হয়েছে, আনিয়া বুকোলভ ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যাণ্ট, স্ট্যানিমির উতকিন। একজনকেই যেখানে উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব, সেখানে তিন-তিন জন?
এদিকে অচিরেই জানা গেল, এদের মাঝে রয়েছে একজন বিশ্বাসঘাতক। বুকোলভের পেছনে লাগা জেনারেল আর্তুর খাযরিনের সঙ্গে হাতে-হাত মিলিয়ে কাজ করে চলছে সে। উদ্দেশ্য?
লুকা।
প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে টিকে আসা লুকাকে মানবতার জন্য আশীর্বাদ হিসেবে ব্যবহার করতে চায় বুকোলভ…কিন্তু খাযরিন দেখতে পাচ্ছে কেবলই তার ধ্বংসাত্মক প্রভাব। প্রখ্যাত উদ্ভিদবিদ তথা চিকিৎসক তথা বোয়ের যোদ্ধা পাউলোস ডি ক্লার্কের ডায়েরি পাওয়া সূত্র ব্যবহার করে টাকাররা চলল লুকা উদ্ধারে, কিন্তু পিছিয়ে নেই খাযরিনও। রাশিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, সেখান থেকে নামিবিয়া হয়ে ওদের অভিযান শেষ হলো আমেরিকার মাটিতে। কার হলো জয়?
লুকার কথা কি মানুষ ভালবাসার সঙ্গে স্মরণ করবে? নাকি কাঁপবে নামটা শুনে? জেমস রলিন্সের বিখ্যাত সিগমা ফোর্স সিরিজের সম্পূরক, টাকার ওয়েইন সিরিজের প্রথম বই ‘কিল সুইচ’-এ পাওয়া যাবে এই প্রশ্নের উত্তর।