“আমার গদ্য ২” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
হাবীবুল্লাহ সিরাজীর আমার গদ্য ২-এ জড়ো রইল তাঁর আখ্যানসমস্ত। আধা-আত্মজৈবনিক, আধা-উপন্যাস-স্বভাবী আমার কুমার-এ ঘটে চেনাজানা জলের আধারে এক কবিমানুষের অন্তঃস্থ প্রাণতরুর অগ্নিকুঁড়ির উন্মীলন। পরাজয় ও কৃষ্ণপক্ষে অগ্নিকাণ্ড তাঁর ঔপন্যাসিক-অভীপ্সার দ্বিধা থরো থরো নয় বরং সবল সাক্ষ্য। আয় রে আমার গোলাপজাম-এ ধীমান কবি-লেখক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর গল্পপ্রয়াসের ইশারা-বাজনা বেজে চলে মিহি অথচ ভীষণ বলবন্ত। ‘কবির প্রাবন্ধিক কি আখ্যানিক গদ্য ভাবালুতা-পূর্ণ’; এমনতর গড় ধারণা চুরমার করে আমার গদ্য ২ পাঠককে গদ্যের অন্যতর ঊষা ও গোধূলিদেশে নিয়ে চলে যেখানে চরিত্র, ঘটনাপ্রবাহ আর সংলাপের পরিচিত দাসত্ব নেই। আছে অনন্ত আকাশে প্রথাভাঙা আখ্যানপক্ষীর অচেনা উড়াল, আছে নীরক্ত শিল্পকৌশলের বিপরীতে সময়ের রক্তগর্ভ উন্মোচন।