এই সময়ের সংবেদী রূপকার, শক্তিমান কথাশিল্পী আহমাদ মোস্তফা কামাল তাঁর অনুপম-সজীব-নির্বিকল্প গদ্যে রচনা করলেন ভিন্নমাত্রিক ব্যঞ্জনার নতুন ধরনের এই গ্রন্থটি। নতুন ধরনের মানে? লেখাগুলো সম্পর্কে তিনি নিজেই লিখেছেন এই গ্রন্থের ভ‚মিকায় ‘গল্প নয়, যদিও গল্পের ঢঙেই লেখা; উপন্যাসও নয়, যদিও উপন্যাসের অনেক উপকরণ পাওয়া যাবে; প্রবন্ধও নয়, যদিও গঠনশৈলী দেখে সেটি মনে হতে পারে। খানিকটা ব্যক্তিগত আলাপচারিতার ভঙ্গিতে রচিত এই লেখাগুলোকে মুক্তগদ্য নামে ডাকতেই ভালোবাসি আমি।’ হ্যাঁ, খুব পরিচিত নয় এই ধরনের লেখা আমাদের পাঠকদের কাছে, তবু তিনি ঝুঁকি নিলেন, অচেনা ভঙ্গির এই লেখাগুলোকে মলাটবন্দি করলেন পাঠকদের জন্য। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর পাঠকসংখ্যা সীমিত হলেও তাঁরা সবাই সংবেদনশীল এবং গভীরমনস্ক। আর পাঠকরা তো জানেনই ‘অনেকটা মুখোমুখি বসে কথা বলার মতো করে গল্প বলেন তিনি, এবং সেই বলার মধ্যে কোনো ফাঁকি থাকে না। এ যেন পুরনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে দক্ষিণমুখো বারান্দায় বসে আত্মগত গলায় স্মৃতিচারণের মতো।’ হ্যাঁ, এই গ্রন্থেও জাাদুবিস্তারি-আত্মমগ্ন বর্ণনায় তিনি সাজিয়েছেন জীবনের নিভৃত মুহূর্তগুলো; আমরা তার গন্ধ পাই, আলো পাই, শব্দ শুনি। আসুন, প্রিয় পাঠক, আমরাও তাঁর সঙ্গে এই জীবন অবলোকন করি।