রবি ক্ষীণ গলায় বলে, ‘জাফর ভাই আপনার স্টেনগানে গুলি আছে?’ ‘আছে।’ ‘দুটো গুলি?’ ‘আছে।’ ‘তাহলে আমার বাসায় চলে যান। দুজন আছে। মেজর ইশরাত আর…’ ‘আর কে? ঐ ক্যাপ্টেন?’ ‘না জাফর ভাই। মেজর ইশরাত আর আমার বাবা।’ ‘তোমার বাবা?’ ‘জি। উনি রাজাকার। সাব্বির মামাকে উনিই মারিয়েছেন।’ ‘ঠিক আছে রবি। আমি দেখব। আগে গুলশানে যাই। তোমাকে রেখে তারপর…’ রবির গলা আরও ক্ষীণ হয়ে আসে। সবার দিকে একবার করে তাকায়। শফিককে বলে, ‘কীরে খরগোশ কাঁদছিস কেন? এই পাহাড়ি হাবিব তোর নাকটা তো আরও চ্যাপ্টা হয়ে গেছে রে।’ অজয় এগিয়ে এসে বলে, ‘আর রবি এই যে আমি…আমি দাঁতাল অজয়।’ ‘আর সবাই মিলে আমরা দেড় ব্যাটারি গ্র“প। জয় দেড় ব্যাটারি গ্র“প।’ সবাই সঙ্গে সঙ্গে গর্জনে গলা মেলায়, ‘জয় দেড় ব্যাটারি গ্র“প।’ কিন্তু বলতে গিয়ে দেখে একটা গলা আর শোনা যাচ্ছে না। রবি মারা গেছে।