‘শৈশব, কৈশাের থেকে যৌবন, তারপর মধ্য বয়স, বার্ধক্য অতিক্রম করে ক্রমেই শেষ পরিণতির দিকে যাত্রা। এই ছুটিয়ে নেয়ার বড়াে অবদান হচ্ছে প্রতিদিন। গুচ্ছ গুচ্ছ স্মৃতি তৈরি করে যাওয়া। আজ যা বর্তমানের ঘটনা, কালই সে পড়ে থাকছে বিগতের ঘরে। এক সময় সেসব হয়ে উঠছে স্মৃতি, জীবনের স্মৃতি। দুঃখের কিংবা সুখের, মূল্যবান অথবা মূল্যহীন। জীবন বােধহয় একটা স্মৃতির গ্রন্থ। আমার নিজের জীবনের স্মৃতি-গ্রন্থটি কিন্তু কখনােই খুব একটা মূল্যবান মনে হয়নি। অবশ্য অনেকে আমাকে আত্মজীবনী লেখার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। বিখ্যাত লোকরা অথবা অবিখ্যাত অনেকেই আত্মজীবনী লিখে পৃথিবীখ্যাত হয়েছেন, জানি। আমি এই দুই দলের কোনােটিতেই নেই। কারণ জীবনটা আমার একেবারেই অখ্যাত।’ কথাগুলাে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সারির ঔপন্যাসিক রিজিয়া রহমানের। তাঁর আত্মজীবনীর তিন খণ্ড (নদী নিরবধি, প্রাচীন নগরীতে যাত্রা, দুঃসময়ের স্বপ্নসিঁড়ি) একত্রিত করে রক্তমাখা স্মৃতির সাগর প্রকাশ করা হলাে। গল্প, উপন্যাসে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে এবার নিজের জবানীতে নিজের কথা—শৈশব, কৈশাের, যৌবন ও মধ্য বয়স অতিক্রান্ত অপরাহ্নে পৌঁছে যাওয়া সময়গুলাের স্মৃতি।