কখনো বর্জ্রে, কখনো বিপ্লবে, কখনো নির্জনতার চরমে আশ্রিত এই অসংখ্য আমি’র প্রথমে নাম ছিল ‘বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের গুরু’। কিন্তু সব জলের আশ্চর্য-হরেক রূপটি যেন এই নামে অভাবিত মনে হচ্ছিল না; তীব্র নেশার বিষগুলো নাম থেকে বের হয়ে দাবিয়ে বেড়াচ্ছিল চারদিকে – দরকার হচ্ছিল এমন সংঘবদ্ধ অণুপরমানু, যার মধ্যে নিহিত সমস্তের ভ্রমণ, শ্লেষ-বিশ্লেষ রাগ-প্রেম কাম-দর্শনসহ যার মধ্যে জন্ম নিতে পারে অভাবিত সব। সেই ভগঃআশ্রিত জ্ঞান থেকেই জারিত ‘ব্রহ্মমাতাল’।