যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা

৳ 160.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849471554
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৮০
সংস্কার 1st Published, 2020
দেশ বাংলাদেশ

১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারি ৬ দফাসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলন গণ-আন্দোলনে পরিণত হয়। পরে ১৪৪ ধারা ও কার্ফু ভঙ্গ, পুলিশ-ইপিআর-এর গুলিবর্ষণ, বহু হতাহতের মধ্য দিয়ে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নিলে আইয়ুব সরকার ১ ফেব্রুয়ারি গোলটেবিল বৈঠকের আহবান জানায় এবং বঙ্গবন্ধুকে প্রত্যাখ্যান করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি জনগণের অব্যাহত চাপের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য আসামিকে মুক্তিদানে বাধ্য হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে কারামুক্ত শেখ মুজিবের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। লাখো জনতার এই সম্মেলনে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়া হয়। উপাধি ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর ভিপি এবং সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক তুখোড় ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ। এ সভায় রাখা বক্তৃতায় শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের এগারো দফা দাবির প্রতি তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করেন।
‘২১ দফা, ৬ দফা ও ১১ দফা’র প্রত্যেকটি ঘটনার সাথেই বঙ্গবন্ধু ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে এসব ঘটনাবলি ধীরে ধীরে একটি স্বাধীন দেশের আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। সকলের প্রিয় এই বাংলাদেশ এমনি এমনি অর্জিত হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামের এই অসম সাহসী ও দূরদর্শী নেতার যদি জন্ম না হতো তাহলে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। তাই এই বইয়ের মূল প্রতিবাদ্য ‘২১ দফা, ৬ দফা, ১১ দফা ও বঙ্গবন্ধু’। আশা করছি বইটি পড়ে তরুণ প্রজন্মসহ সকলেই বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীন বাংলাদেশকে ভালোবাসার অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবেন এবং স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবেন।

জন্ম ১ জানুয়ারি, খুলনা । এমবিবিএস পাশ করেছেন শের-ই- বাংলা মেডিক্যাল কলেজ, বরিশাল থেকে । পোস্ট গ্রাজুয়েশন করেছেন অর্থোপেডিক সার্জারিতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা থেকে। লেখালেখির শুরুটা কবিতা দিয়ে হলেও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার অবাধ বিচরণ। সায়েন্স ফিকশন ও ভৌতিক গল্প লিখেছেন প্রচুর। অনুবাদেও সমান দক্ষ । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাহিত্য নিয়েও কাজ করেছেন অনেক স্বাস্থ্যু বিষয়ক লেখালেখিকে তিনি সাহিত্যের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন । ছাত্রজীবনে সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । তিনি শেরই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রসংসদের নির্বাচিত সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন । একই সাথে ছিলেন উক্ত মেডিক্যাল কলেজ শাখার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর নির্বাচিত কেন্দ্রীয় প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ হেলথ রাইটার্স ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব।
প্রথম কবিতার বই একজন স্বপ্নপুরুষের কাছে মৃত্যুর অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। বাংলা ভাষায় প্রথম দীর্ঘ সায়েন্স ফিকশন কবিতা লেখেন তিনি। স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে পেয়েছেন আনোয়ারা-নূর পুরস্কার । চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে ফ্রিলেন্স জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক এফজেএ অ্যাওয়ার্ড অব ফ্রিডম ২০১২ প্রদান করা হয়। এছাড়াও তাকে মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক ২০১২ এবং মে দিবস সম্মাননা ২০১৩ প্রদান করা হয়। রহস্য পত্রিকায় তিনি পাঠকদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেন এবং উন্মাদ পত্রিকার পরিকল্পনা বিভাগে রয়েছেন। পেশাগত জীবনে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থেপেডিক ও ট্রামাটােলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন ।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ