অনেকেই জানতে চান, মুক্তগদ্য কী? কেন এই লেখাগুলোকে মুক্তগদ্য নামে ডাকি? সত্যি বলতে কি, অন্য কোনো নাম না পেয়েই এই নামে ডাকতে শুরু করেছিলাম লেখাগুলোকে। কারণ, গল্প নয় এগুলো, যদিও গল্পের ঢঙেই লেখা; উপন্যাসও নয়, যদিও উপন্যাসের অনেক উপকরণ পাওয়া যাবে; প্রবন্ধও নয়, যদিও গঠনশৈলী দেখে সেটি মনে হতে পারে। যেহেতু ব্যক্তিগত অনেক প্রসঙ্গ আছে লেখাগুলোর ভেতরে, এগুলোকে হয়তো ব্যক্তিগত রচনাও বলা যেত; অনেক স্মৃতির কথা থাকে এ-ধরনের লেখায়, সেই অর্থে স্মৃতিগদ্যও বলা যেত; কিন্তু তাতে এদের সম্পূর্ণ রূপ ধরা পড়ে না। খানিকটা ব্যক্তিগত আলাপচারিতার ভঙ্গিতে রচিত এই লেখাগুলোতে এত ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য আছে যে একে কোনো নির্দিষ্ট নামে ডাকা যায় না। ‘মুক্ত’ বলেই এর নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নেই, নির্দিষ্ট আঙ্গিকও নেই। মুক্ত সে, স্বাধীন, এবং খানিকটা স্বেচ্ছাচারীও। আর তাই এদেরকে ‘মুক্তগদ্য’ নামে ডাকতেই ভালোবাসি আমি। আমার যে নিয়মিত লেখালেখি–গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ–তার থেকে এই লেখাগুলো একটু আলাদা। দলছুটই বলা যায়।