করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বৈশি^ক দুর্যোগ গোটা বিশে^র শিক্ষাব্যবস্থাকে চরম দুরবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাথে জড়িত বিশ লাখ শিক্ষক- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলাদেশ সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে রেকর্ডিং করা ক্লাস প্রচার করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই। বিশ^ব্যাপী সংক্রামক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এবং তার আরও বিস্তাররোধে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাবিষয়ক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষের জীবন বাঁচাতে এ ধরনের উদ্যোগ অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসেবে সামনে চলে এসেছে। তাই গ্রহণ করা হয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ও অর্থনীতিবিষয়ক বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা। সে হিসেবে শিক্ষার তেমন কোনো পরিকল্পনার কথা আমরা শুনছি না। দেশের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪১ লাখ। গত এক দশকে যে সেশনজট অনেকাংশে কমে এসেছিল, করোনায় তা আবারও ফিরে আসার আশঙ্কা জেগেছে। এখনো যেহেতু প্রতিষ্ঠান খোলেনি, এই ক্ষতি পোষাতে প্রায় দুই বছর লেগে যাবে।