“ত্রিপুরা ১৯৭১” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
ত্রিপুরার সাথে জড়িয়ে আছে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের স্মৃতি। বিশেষ করে একাত্তরে ত্রিপুরার সাধারণ মানুষ, সংবাদপত্র ও চিকিৎসকদের অনন্য ভূমিকা ছিল। তাদের সাহসী ভূমিকা রণাঙ্গনের মুক্তিযােদ্ধাদের দিয়েছিল সাহস, শরণার্থীদের দিয়েছিল আশ্রয় ও সেবা, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশকে সর্বাত্নক সহায়তা দিতে। অন্যদিকে বর্হিবিশ্বে গড়ে উঠেছিল বাংলাদেশের সমর্থনে এক ব্যাপক আন্তর্জাতিক জনমতের। ভ্রাতৃপ্রতিম জন-মানুষের সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও আতিথেয়তা ছিল আমাদের মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম সম্বল। সব মিলিয়ে ত্রিপুরা জড়িয়ে পড়েছিল অন্য রকম এক জনযুদ্ধে। সেই জনযুদ্ধের তিনটি প্রভাবক সাধারণ মানুষ, সংবাদপত্র ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সেইসব দিনগুলাে উঠে এসেছে এই গ্রন্থে।