পবিত্র কুরআনে ফাঁপা পৃথিবীর বিষয়টি এসেছে ‘গুহা’ তথা ফাঁপা পাহাড়ের উপমার আড়ালে। একটি সূরার নামই হলো ‘কাহ্ফ’ তথা ‘গুহা’। সূরা কাহ্ফের ৯নং আয়াত বিশ্লেষণে স্পষ্ট হয়, ফাঁপা পৃথিবী পৃষ্ঠ এবং পৃথিবীর খোলসে ছড়িয়ে থাকা সুড়ঙ্গসমূহ মানববসতিপূর্ণ। ‘পাতালপুরী’ এসেছে সূরা ত্বা-হা’র ৬নং আয়াতে ‘তাহতাস সারা’ হিসেবে। তাছাড়া ভেতরের পৃথিবীর উর্বর ভূমির পরিচয় দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সূরায়। আছে দুই সূর্যের বিষয়, মেরুতে দুই সাগরের মিলিতভাবে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়, প্রতিটি পাহাড় দিয়ে ইয়াজুজ মাজুজদের উঠে আসার বিষয়সহ আরো অনেক বিষয় যেগুলো থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, পৃথিবী ফাঁপা ও সুড়ঙ্গময়।
পৃথিবী ফাঁপা ও মানববসতিপূর্ণ হলেই কেবল মেরু অভিযাত্রীদের বিচিত্র অভিজ্ঞতাসহ শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে মানব সমাজে চলে আসা রূপকথা এবং এলিয়েন, ফ্লাইং সসার, বারমুডা ট্রায়েঙ্গল, ডেভিল সী, এরিয়া-৫১, পৃথিবীর হারিয়ে যাওয়া জনগোষ্ঠী, ইয়াজুজ-মাজুজসহ বহু গোপন রহস্যের সমাধান হয়ে যায়। আর এভাবে বিভিন্ন ধর্মের গোপন রহস্য, রূপকথার গল্প-কাহিনী, আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ যুগপৎভাবে বিবেচনা করলে সুড়ঙ্গময় ফাঁপা পৃথিবীর চিত্র ফুটে উঠে। আর এই সকল বিষয়গুলি এই বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
ফাঁপা পৃথিবী সংক্রান্ত “রহস্যময় ভেতরের পৃথিবী” বইটি পাঠকের চিন্তার জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে, ইনশা’আল্লাহ।