১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের বর্বর হত্যাকাণ্ড যখন সংঘটিত হয়, তখন বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ। আর ঢাকার ৪৬ ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন কর্নেল শাফায়াত জামিল। সেই ঘোরতর সময়ে এই দুই সামরিক কর্মকর্তার ভূমিকা ও অবস্থান নিয়ে দেশব্যাপী নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। ১৯৯৩ সালে ১৭ বছরের কূটনৈতিক জীবন শেষে কে এম সফিউল্লাহ দেশে ফিরে আসেন। সে সময় ভোরের কাগজ -এর সম্পাদক মতিউর রহমানকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি আগস্ট ট্র্যাজেডিতে তাঁর অবস্থান ও ভূমিকা নিয়ে প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। সেটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিতর্কের সূত্রপাত হয়। ওই সাক্ষাৎকারের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শাফায়াত জামিল ভোরের কাগজ-এ একটি দীর্ঘ লেখায় তাঁর পাল্টা বক্তব্য হাজির করেন। একের পর এক লেখায় তাঁদের দুজনের অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের বয়ান প্রকাশ্য হয়। এই বিতর্কের বেশ কিছুদিন পর ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শাফায়াত জামিলের একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নেন মতিউর রহমান। এই সাক্ষাৎকারে রয়েছে ওই বিতর্কের আঁচ আর ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থানের বিস্তারিত। দুই সমরনায়কের সাক্ষাৎকার আর বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যই এ বইয়ের উপজীব্য।