অরাজকতার বাঙলাদেশ

৳ 400.00

লেখক
প্রকাশক
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২৪৪
সংস্কার 1st Published, 2021
দেশ বাংলাদেশ

অরাজকতার বাঙলাদেশ
“এই সংকলনে ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচন পূর্ববর্তী পরিস্থিতির বিভিন্ন দিকের বিস্তারিত বিবরণ আছে। … এ সময় নির্বাচনই হয়ে দাঁড়িয়েছিল জনগণের মধ্যে, রাজনৈতিক দলের মধ্যে ও সংবাদ পত্রে সব থেকে বেশী আলোচিত বিষয়। … ২০১৮ সালের অগাষ্টের শেষ দিকে সিলেটের মেয়র নির্বাচনে বিএনপির কাছে আওয়ামী লীগের শোচনীয় পরাজয় থেকে আওয়ামী লীগের বিপদ ভালভাবেই বোঝা গিয়েছিল। কাজেই আওয়ামী লীগ কোন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়লাভের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা না দেখে সমগ্র নির্বাচন ব্যবস্থা উচ্ছেদ করে ভুয়া নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছিল। এ ছাড়া তাদের টিকে থাকার অন্য উপায় ছিল না। … জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে আওয়ামী লীগ যেভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যত উচ্ছেদ করেছে তাতে কোন ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের শাসন উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। তবে আওয়ামী লীগের শাসন অবশ্যই উচ্ছেদ হবে, যেভাবে ১৯৬৯ সালে আইউব খানের শাসন এবং ১৯৯০ সালে এরশাদের শাসন উচ্ছেদ হয়েছিল।
এখানে যে প্রবন্ধগুলি ধারাবাহিকভাবে আছে সেগুলিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ঘটতে থাকা বিভিন্ন ঘটনা ও পরিস্থিতির বিষয়। আমার সব সংবাদপত্র প্রবন্ধ সংকলনের মধ্যে এটা দেখা যাবে। এদিক দিয়ে বলা চলে, এগুলো হলো এক একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ের ইতিহাস। পরবর্তীকালে যাঁরা বাঙলাদেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ইতিহাস রচনা করবেন এ প্রবন্ধগুলি তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলেই আশা করি।”
বদরুদ্দীন উমর

বদরুদ্দীন উমরের জন্ম ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর পশ্চিম বাঙলার বর্ধমান শহরে। মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, রাজনীতিবিদ, প্রাবন্ধিক ও ইতিহাসবিদ হিসেবে তিনি বাঙলাদেশে সুপরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ. পাশ করার আগেই ১৯৫৪ সালে দর্শন বিভাগে অস্থায়ীভাবে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৫ সালে এম. এ.

পাশ করার পর ১৯৫৬ সালে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজে এবং ১৯৫৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৬১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি এই তিন বিষয়ে অনার্স ডিগ্ৰী অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগেরও তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা। ষাটের দশকে প্রকাশিত তাঁর তিনটি বই সাম্প্রদায়িকতা (১৯৬৬), সংস্কৃতির সংকট (১৯৬৭) ও সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা (১৯৬৯) তত্ত্বকালে বাঙালী জাতীয়তাবাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সময় পাকিস্তান সরকারের সাথে তাঁর বিরোধ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবং তিনি নিজেই ১৯৬৮ সালে অধ্যাপনার কাজে ইস্তফা দিয়ে সরাসরি রাজনীতি ও সার্বক্ষণিক লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ