জীবনে সাফল্যের চাবিকাঠি পেতে হলে ধারাবাহিক ও অভিরাম কর্মসাধনার কোনো বিকল্প নেই। সকল প্রতিকূলতা আর হতাশাকে মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে হবে নতুন দিগন্তপানে।
যারা কামনা করেন- সামাজিক জীবনে শান্তি-স্বস্তির সুশীতল হাওয়া লাগুক, তারা প্রথমে তাদের নিজেদেরকে হিংসা-বিদ্বেষ, ধর্ম-বর্ণভেদ ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতা জলাঞ্জলি দিয়ে দেশ-মাটি-মানুষের ভালোবাসা সমৃদ্ধ সোনালি হৃদয় দ্বারা সুশীল সমাজ গঠনে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা করতে হবে। জীবনের সবখানে লালন করতে হবে- সর্বপ্রকার সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে ওঠার উদার মানসিকতা। নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে চরিত্রবান হিসেবে।
দেশের উদীয়মান কিশোর-কিশোরী যদি এসব সদগুণের অধিকারী হয়, তবে সেদিন আর বেশি দূরে নয়। যেদিন তাদের সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুখ্যাতির সৌরভ ছড়াবে, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।
আজ যারা ছোট তারা নিজ পরিরার, সমাজ এমনকি দেশের ভবিষ্যত কর্ণধার। এই ভবিষ্যত কর্ণধারের মানসকোণে যাতে সুন্দর-সত্যকে গ্রহণ আর কদাচার-মিথ্যাকে উপেক্ষা করার দ্বীপ্ত চেতনা জাগরিত হয়, সেই উদ্দেশ্যকে পুঁজি করে এগিয়ে যাওয়ার সোপান পড়াশোনা, প্রিয় বাংলার রং-রূপ, জ্ঞানীদের জীবন কথা, মানুষের অধিকার, ভয়কে জয় করার চেতনা, শিক্ষা বনাম সুশিক্ষার ধারণা, সামাজিক ও স্বাধীনতার চেতনা জাগরণ, লোভ-লালসার পরিণতি, চিত্ত-বিত্ত, অভাব-অনটন, সর্বোপরি জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে বইমুখী করার জন্য ছন্দরূপ দিয়ে রচনা করা হয়েছে জ্ঞানসমৃদ্ধ কিশোর কাব্যগ্রন্থ ‘ফুলপরিদের স্কুল’।
বইটি পড়ে নবীন কিশোর-কিশোরীদের মনে সুপ্ত চেতনা জাগরিত হলেই সার্থক হবে আমার পরিশ্রম। মানুষ যেহেতু ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, তেমনি হতে পারে ভুল আমারও। তাই কোথাও কোনো অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে সুপ্রিয় পাঠক মহলের পরামর্শ কামনায়-
মহিউদ্দীন চৌধুরী