আমাকেই রুখে দাও
শাওন আসগর সব্যসাচী লেখক। অনেক পরিচয়ে তিনি এগুচ্ছেন। শিশুদের জন্য ছড়া-গল্প,বড়দের জন্য কবিতা-গল্প-উপন্যাসের সংখ্যা দীর্ঘ হচ্ছে। বিষয়বস্তু ,আঙ্গিক, লিখনরীতিতে তিনি সাবলীল গতি তাঁর। প্রথম সময়ের অক্ষমতাগুলো কাটিয়ে তিনি আরো সম্ভাবনাময় পথের দিকে হাঁটছেন। তাঁর লেখার পরিধি মানুষের কর্মময় জীবনের সাথে বোধেরও সম্পর্ক। জীবনের বহুধানিষিক্ত রস এবং আবেগ-প্রেমের ফোঁটা ফোঁটা স্পর্শের অন্বেষণ করেছেন লেখক। বিশেষ করে লিখনীর শিল্প প্রকরণ ও ভাবগম্ভীর ব্যখ্যাসমূহ লেখককে অনেক উঁচু মাপের সন্মান এনে দিয়েছে। সংযত গভীর অন্তর্দর্শী বর্ণনাগুন, ভাষার চাতুর্য এবং বিষয়বস্তুতে সহজ সরলীকরণ সংযোজন এক উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব যা হয়ে ওঠেছে সময়ের দর্পণ। জীবনের বাস্তব দূর্গম পথ-পরিক্রমা আর চোখের জমিনে রাখা উপলব্ধির ছবিসমূহ মুঠোয় করে শাওন আসগর শব্দের প্রাণবন্ত গাঁথুনীতে কবিতার শৈল্পিক বিন্যাসে পাঠকের সামনে ছিঁটিয়ে দিয়েছেন অনেক প্রশ্ন ও ভালোবাসার মূর্ত চিত্রকল্প। গল্পকার ও আবৃত্তিকার হবার কারণে কবিতার উপমা উৎপ্রেক্ষা আর চিত্রকলার মেধাবী দৃশ্যায়ণ করেছেন যাতে পাঠকের মনোযোগ আকৃষ্ট হয় গভীরভাবে। পূর্বের গ্রন্থগুলোর মতোই বর্তমান গ্রন্থটি তাকে নতুন সম্মান ও সার্থকতায় আসীন করবে-এমন প্রত্যাশা পাঠকের কাছে।