‘উন্নয়ন’ প্রশ্নে বাংলাদেশের কিছু সংকট ও সম্ভাবনা

৳ 400.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849638681
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২৭২
সংস্কার 1st Published, 2022
দেশ বাংলাদেশ

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারের আমলেই ‘উন্নয়ন’ বিপুল ভাবে আলোচিত ছিল। অবকাঠামো উন্নয়ন এই সময়ে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বরং বেশি প্রাসঙ্গিক। কিন্তু আমাদের উন্নয়ন কি টেকসই? রাজনৈতিকভাবে কথিত এত বিপুল উন্নয়নের পরে দেশের বিভিন্ন অবকাঠামো খাতে সত্যিকার অর্থে কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে অতীতে এবং বর্তমানে, এই ইন্টারেস্টিং প্রশ্নকে সামনে রেখে এই পুস্তকে উন্নয়ন বিষয়ে বেশ কিছু খাত নিয়ে ক্রিটিক্যাল বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা তোলা হয়েছে। নতুন ধারার এসব আলোচনা কিছু ক্ষেত্রে চমক জাগানিয়া, কিছু তীর্যক সমালোচনা ও আত্ম-বিশ্লেষণ ধর্মী, কিছু ক্ষেত্রে সম্ভাবনা উন্মোচনের এবং সম্ভাব্য বিকল্প সমাধান বাতলে দেয়ার। উন্নয়নের গতানুগতি কোন আলোচনা বইটিতে স্থান পায়নি।
বাংলাদেশের শিক্ষা, শ্রমবাজার ও কর্মসংস্থান কতটা টেকসই? করোনা শ্রমবাজারের কী কী ঝুঁকি নিয়ে এসেছে? কোটা সংস্কার কিংবা নতুন চাকরি তৈরির নতুন উপল্বদ্ধি কি? সড়ক ও সেতু নির্মাণে আমরা কতটা এগিয়েছি? আমাদের সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থাপনা ও সড়ক আইন কেমন? বিদ্যুৎ মাস্টারপ্ল্যান কতটা ভবিষ্যৎ মুখী? মধ্যবিত্ত ও পেশাজীবীদের রাষ্ট্র ভাবনা কতটা উন্নত? পলিটিক্যাল ইকোনোমি উন্নয়নকে কিভাবে প্রভাবিত করে? কিংবা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরের সংকট থেকে বেরুবার টেকসই পথ কি?
শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে, কর্মবাজারে, সড়ক-সেতুতে, ট্র্যাফিক শৃংখলায়, জ্বালানি খাতে, রাজধানী উন্নয়নে, সমাজ কিংবা রাজনীতিতে বিপুল উন্নয়ন কাদের কাজে এসেছে? উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়? সাধারণ মানুষের জীবন মানে বোধগম্য পরিবর্তন আনতে পারার মত দরকারি বহুমাত্রিক, সমন্বিত ও সুষম উন্নয়ন, যাকে আমরা টেকসই উন্নয়ন বলি তা কতটা বাংলাদেশে হয়েছে- সেটাই এই পুস্তকের কেন্দ্রীয় আলোচনা।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ, ১৯৮০ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম (মনোহরগঞ্জ) উপজেলার খিলা ইউনিয়নের বান্দুয়াইন গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক। তিনি ১৯৯৭ সালে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৯৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল-এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ অধ্যয়ন করেন। ২০০৫ থেকে অদ্যাবধি টেলি যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হিসবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি সিনিয়র সফটওয়্যার সল্যুশন আর্কিটেক্ট হিসেবে ‘ভোডাফোন জিজ্ঞো’ নেদারল্যান্ডস-এ কর্মরত আছেন। ইতিপূর্বে তিনি এলকাটেল লুসেন্ট বাংলাদেশ, টেলিকম মালয়েশিয়া বাংলাদেশ একটেল (বর্তমান রবি), এমটিএন কমিউনিকেশনস নাইজেরিয়া, এরিকসন নাইজেরিয়া, এরিকসন ঘানা, এরিকসন দক্ষিণ কোরিয়া, এরিকসন নেদারল্যান্ডস এ কাজ করেছেন। পেশাগত জীবনে তিনি দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ এবং পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ডিজাইন ও বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। জনাব ফয়েজ তৈয়্যব একজন ‘টেকসই উন্নয়ন ও অবকাঠামো’ বিষয়ক প্রবন্ধকার। টেকসই উন্নয়নের নিরিখে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের কাঠামোগত সংস্কার, সুশাসন, প্রতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং প্রযুক্তির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় জ্ঞানের সমন্বয় ঘটিয়ে বাংলাদেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধানের পর্যালোচনা করে থাকেন। তিনি তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের আর্থ সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চান। তাই এসকল বিষয়ে তাঁর নিজস্ব মুক্ত চিন্তা স্বাধীন ভাবে প্রকাশের প্রয়াস করেন। তাঁর লিখায় যা বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পায়ঃ সাস্টেইনএবল ডেভেলপমেন্ট এর নিরিখে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতিগত দিক, বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের ডিজাইন ত্রুটি, অর্থনীতি শিক্ষা স্বাস্থ্য ও কৃষি ইত্যাদি খাতের কারিগরি ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তনের কারিগরি প্রস্তুতি, ম্যাক্রো ও মাইক্রো ইকোনমিক ম্যানেজমেন্টের কারিগরি দিক এবং অটোমেশন। সামাজিক সংযোগের দিক থেকে উনি একজন টেকসই উন্নয়ন কর্মী, ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। গ্রীণপিস নেদারল্যান্ডস এর সদস্য। দৈনিক বণিকবার্তা, দৈনিক শেয়ারবিজ ও দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনের উপ সম্পাদকীয় কলাম লেখক।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ