১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয় মহাদেব সাহার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘এই গৃহ এই সন্ন্যাস’; তারপর থেকে এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে তাঁর আরও তেষট্টি কাব্যগ্রন্থ। তার মধ্য থেকে প্রথম বারােটি বইয়ে অন্তর্ভুক্ত সব কবিতা নিয়ে প্রকাশিত হয় কাব্যসমগ্র প্রথম খণ্ড । এর পরের চৌদ্দটি বই নিয়ে কাব্যসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড ও পরবর্তী আরও চৌদ্দটি বই নিয়ে কাব্যসমগ্র তৃতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয়। তার পরের আরও চৌদ্দটি বই নিয়ে প্রকাশিত হয় কাব্যসমগ্র চতুর্থ খণ্ড । দশটি বই নিয়ে কাব্যসমগ্র পঞ্চম খণ্ড। এগারােটি বই নিয়ে কাব্যসমগ্র ষষ্ঠ খণ্ড। এবার পরবর্তী দশটি বই নিয়ে কাব্যসমগ্র সপ্তম খণ্ড প্রকাশিত হলাে। একজন কবিকে জানার জন্য সূচনাপর্ব থেকে তার ক্রমবিকাশ ও উত্তরণের নানা স্তর ও পর্যায় শনাক্ত করা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ধারাবাহিক সেই প্রয়ােজনের কথা মনে রেখেই কাব্যসমগ্র প্রকাশের পরিকল্পনা। কাব্যসমগ্র সপ্তম খণ্ডে সঙ্কলিত হয়েছে মাটির সম্ভার, আমার কবিতাগ্রাম, কোন মন্ত্রবলে অন্ধকারে আলাে জ্বলে, অনন্তের বাঁশি, কোথা পাই দিব্যজ্ঞান, মাটির মাধুর্য, এত যে সুখের নৃত্য, এত যে দুঃখের অশ্রু, চোখ বুজে পাহাড় দেখেছি, পৃথিবী, তােমার দুঃখ ঘুচে যাবে, সুন্দর, তােমারই হাতে তুলে দেবাে সব প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থের অন্তরমুখী আরাে গভীর ও সংহত কবিতাসমূহ। কী যন্ত্রণা ও বেদনাভার নিরন্তর নিজের মধ্যে বহন করে ক্রমাগত নিজেকে ক্ষয় করতে করতে যে জীবনের কঠিন সত্য অনুভব করতে হয় তারই সন্ধান মেলে কবিতাগুলােতে। আর উন্মােচিত হয় পরিণত বােধ উপলব্ধির এক নতুন জগৎ।