কোরপুল যে সময়টায় চাঁদপুর-মতলব-কচুয়া এলাকাগুলোতে মাঝে মাঝেই খাবারের অভাব বা দুর্ভিক্ষ মতো হত সেই সময়টাতেই একদিন সন্ধ্যা হওয়ার মুখে মুখে কোরপুল বেগম দু’জন পাড়া প্রতিবেশীর সাথে এসে হাজির হয়েছিল লালমাই পাহাড়ের কাছে সালমানপুের। এছাড়া তাদের আর উপায় ছিল না। ঘরে খাবার তো ছিলই না কাজ করারও সুযোগ ছিল না। একটা মাত্র ফসল হত তখন, সাথে অল্প কিছুআনাজপাতি, আলু, বেগুন, লাউ- আট-দশজনের সংসারে সেই ফসলে কয় মাস চলে? একটু খরা দেখা দিলে অনেক গেরস্থ ঘরেও টানাটানি শুরু হয়ে যেত। একবেলা শাকপাতা, পাতলা ডাল কি আলুভর্তা- বেগুনভর্তা দিয়ে চালিয়ে নেওয়া হত, হাঁড়িতেও চাল দিতে হত হিসাব করে। ডাল খানিকটা পাতলাই ভালো বলে চালাত গিন্নিরা। অনেক সময় তিনবেলা খাওয়ার অভ্যাস বদলে দুবেলাতেও রাখা হত। সকালবেলা হাঁস-মুরগিগুলোও আর উঠানে ছড়ানো-ছিটানো ভাত পেত না। বেচারারা সারাদিনই তখন এদিকওদিক খুঁটে মরত। যাদের নিজেদের কোনো জমি-টমি ছিল না তাদের অবস্থ