“তারা ওঠে। বাংলোর দিকে হাঁটতে আরম্ভ করে। ফিরতে ফিরতে কবি বলে, ঐ যে কথা— উপাসনালয়ে পৌঁছানো যায় না, যত কাছে যাওয়া যায় ওটার, তত দূরে সরে যায়—এ কথাটা না এক অর্থে সত্য। মানে? ওখানে আসলে পৌঁছানোই যায় না। কেন? দলের সবাই জিজ্ঞেস করে একসঙ্গে। কবি মাটি থেকে একটা ঢিল কুড়িয়ে নেয়। সেটা ছুড়ে দেয় দূরে। বলে—কারণ ওখানে পৌঁছালে আর বোধহয় ফেরা যায় না। সন্ধ্যায় বাংলোর বারান্দায় বসে আছে খালিদ, মাহবুব, তারেক, রফিক, আসমা, বীথি, হেলেন। রফিক আর তারেক দাবা খেলছে। খালিদ আর মাহবুব দেখছে। আসমা পা দোলাতে দোলাতে একটা ম্যাগাজিনের পাতা উল্টোচ্ছে। বীথি হেলেনকে নতুন দেখা এক হিন্দি সিনেমার কাহিনী ছোট করে জানাচ্ছে। কবি ভেতরের ঘর থেকে বের হয়ে বলল—ঐ যে, যে কবিতাটার কথা বলছিলাম না? যেটা মাথায় ঘুরছিল কিছুদিন হলো—ওটা লেখা হয়ে গেছে, তোমরা শুনবে? কেউ আগ্রহ দেখালো না।” আমাদের কাহিনী সর্বস্ব উপন্যাসের জগতে ‘মানুষ যেখানে যায় না’ এক আশ্চর্য ব্যতিক্রম।