ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
অসম্ভব এক সুন্দরী মেয়ে সাদিয়া শিল্পপতি এন্তাজ আলী মিয়ার বাড়িতে ঢুকে বললো, সে তাঁর স্ত্রী। কথাটি শুনে বাড়ির সবাই যেন অপ্রস্তুত হয়ে গেলো, নড়েচড়ে বসলো। মেয়েটা বলে কী! পাগল না হলে কী এমন কথা কেউ বলে! এরপরও মেয়েটাকে কেন আশ্রয় দিয়েছিলেন এন্তাজ আলীর স্ত্রী! আসলে মেয়েটির সঙ্গে এন্তাজ আলীর কিসের সম্পর্ক! এই মেয়েটিই এক সময় রঙ্গশালার নর্তকী আবার যাত্রাদলের নায়িকা ছিল। তার জীবনচিত্রই উঠে এসেছে ‘রঙ্গশালার নায়িকা’ উপনাসে। ‘বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় একা মেয়েটি’ উপন্যাসটিও নায়িকা প্রধান। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নিয়েও শাওনের জীবনটা ছিল কালো মেঘে ঢাকা। সেই জীবনের কোনোদিন আলোর দেখা মেলেনি। ঘাত প্রতিঘাতে জীবনটা যখন একেবারে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছিল তখন তাকে হাতে ধরে টেনে তোলে এক যুবক। মেয়েটাকে সে আলোর পথ দেখাতে চায়। স্বপ্ন দেখায় নতুন জীবনের। কিন্তু এক্ষেত্রে কাল হয়ে দাঁড়ায় একটি অঘটন। যুবকটি জানতে পারে, তার ঘরে আশ্রিতা শাওন আসলে ঘাতক! দিনের পর দিন জোছনার গল্প শুনিয়েছিল যে, সে একদিন তাকে ছেড়ে চলে গেলো দূরে, বহু দূরে! এই চলে যাওয়া মানুষটির জন্য এখনও তার প্রাণ কাঁদে। জোছনার রাত এলেই তার মন উদাস হয়। জোছনায় খুঁজে বেড়ায় তার প্রেমিককে। সেই জোছনার রাত কবে আসবে, যেদিন তার পাশে থাকবে তার সে মনের মানুষটি। এ হলো ‘একদিন জোছনাভরা রাতে’ এর কাহিনী। আর প্রিয়তমা! এ এক প্রেমের উপাখ্যান। ইরা পাগলের মতো ভালোবাসে ইমতিয়াজকে। কিন্তু ইরাকে ভালোবাসে তার ক্লাশমেট রাহুল। কিন্তু হঠাৎ ইরা কেন আত্মহননের পথ বেছে নিল!