ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
মাওলানা জলিল আহমেদ কোরবানপরি একজন রাজাকার। একজন রাজাকারের জন্য বাংলাদেশ নয়। এদেশের আলো বাতাসে সে বেঁচে থাকতে পারে না। তারপরও এরা কার আশ্রয়ে এই মাটিতে বেড়ে ওঠছে আমরা সবাই জানি। সবাই এদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে। মহান সংসদের পবিত্র আসন কলঙ্কিত হয় এদের উপস্থিতিতে। কিন্তু রাজাকারের এই প্রজন্মের ছেলে মানুন আহমেদ নিজেই বাবার বিচার চায়। বাবাকে ঘৃণা করতে শিখেছে যা আমরা অতো বছরেও পারিনি।রাজাকারের ছেলে মানুন স্ত্রী উর্মি তথা পান্নার ভেতরও কোন অনুতম্পা নেই। মামুন রাজাকারের হবার কারণে স্বামীকে ত্যাগ করতে পারে, জীবনকে বদলে দিতে পারে। আমরা পারিনি। রাজাকারের অত্যাচার নির্যাতন ভুলতে পারেনি কার্তিক নাপিত। আমরা সব ভুলে যাই। আমরা তাদের প্রতিশোধ নিতে পারিনি, বিচার করতে পারিনি। কার্তিক বছরের পর বছর অপেক্ষা করে একদিন নিজেই বিচারের ভার নেয়। আমরা যা করতে পারিনি, উর্মি কার্তিক আর মামুনরা তা পেরেছে। সমসাময়িক রাজনৈতিক সামাজিক টানাপোড়েন আর জীবনের উলদ্ধিগুলোকে শাওন আসগর এই উপন্যাসে ভাষার চাতুর্যে সরলীকরণ সংযোজনের মাধ্যমে পাঠকের জন্যে উস্থাপন করেছেন। পাঠকের কাছে এটি ভালো লাগবে বলে আশা করি।