“হ্যামলেট” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
বলা হয় ঈশ্বরের পরেই সর্বাধিক স্মরণীয় মানুষ সৃষ্টি করেছেন নাট্যকার শেক্সপিয়র। তাঁর সৃষ্ট মানুষের ভেতরে হ্যামলেট বিশ্বে সর্বাধিক পরিচিত, নাম উচ্চারিত, পণ্ডিত-অধ্যাপক-গবেষকদের তাে বটেই কবিদেরও সর্বাধিক মনােযােগ-প্রাপ্ত; অ্যাভন নদীর পাড়ে স্ট্রাটফোর্ডে জন্ম নেওয়া ওই নাট্যকারের রচনা হ্যামলেট নিয়ে যত বই । লেখা হয়েছে, যত ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তার। ধারেকাছেও নেই আর কোনাে শিল্পস্রষ্টার । আর কোনাে রচনা কি নির্মাণ । নাট্যদেব উইলিয়াম শেক্সপিয়র ধূলির এ। পৃথিবী ছেড়ে যান ১৬১৬ খ্রিষ্টাব্দে, এর চার। শ’ বছর পূর্তি ২০১৬-য়; এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যখন। বৎসরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার পরিকল্পনা করে, তখন নাট্যবন্ধুজনেরা আমাকে সেই নাটক। বাংলায় অনুবাদ করবার জন্যে অনুরােধ । করেন অনুরােধটি মান্য করে, বিভিন্ন সম্পাদক কৃত হ্যামলেট-এর যে পাঁচটি। সংস্করণ আমার পাঠাগারে আছে, নিবিড়ভাবে পাঠ করতে শুরু করি; ক্রমে কখনাে। ধীর-সময় নিয়ে, কখনাে বিদ্যুৎচমকের মতাে, আমার করােটিতে দৃশ্যগুলাের বাংলা। মুখাবয়ব স্ফুট হতে থাকে।