ছয় দফা ঘােষণার পর করাচি থেকে দেশের মাটিতে পা রাখলেন। শেখ মুজিব। তাজউদ্দীনের কাঁধে হাত রেখে স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়ে তিনি বললেন, দেশে এসে গেছি। আর চিন্তা নেই। এখন গ্রেপ্তার করলেও মনে কোনাে খেদ থাকবে না।
ছয় দফাকে ঘিরেই পাকিস্তানের রাজনীতি নতুন মােড় নিতে শুরু করে। আইয়ুব সরকার বেসামাল হয়ে ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়। গ্রেপ্তার করে শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের।
ছয় দফার বিরােধিতাকারী মওলানা ভাসানী শেষপর্যন্ত জনগণের চাপে শেখ মুজিবের মুক্তির আন্দোলন শুরু করেন। সেই আন্দোলনের চূড়ান্তপর্বে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান সেনাপ্রধান ইয়াহিয়া খানকে ডেকে বলেন, শেখ মুজিবকে ফাঁসানাের উপায় কী!
ইয়াহিয়া বললেন, একমাত্র পথ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। তাকে ফাঁসিতে লটকাতে পারলে সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলাে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলাে না। রাজপথ আরাে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। বিক্ষুব্ধ জনতা আওয়াজ তুলল, ‘অগ্নিপুরুষ শেখ মুজিব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’। জেলের তালা ভাঙব শেখ মুজিবকে আনব।
‘অবশেষে মহানায়কের বেশে জেল থেকে বেরিয়ে এলেন। অগ্নিপুরুষ শেখ মুজিব।