চন্দ্রমুখী ঢাকা শহরের উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র সন্তান। ছাত্রী হিসেবে অত্যন্ত মেধাবী। তবে প্রেম-ভালােবাসার ব্যাপারে একেবারেই নেতিবাচক। সে মনে করত, ওসব করে সময় নষ্ট করা ভালাে ছাত্রীদের কাজ নয়। সেই চন্দ্রমুখীই কিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বখতিয়ারের ফাঁদে পা দিল! তাকে সে গভীরভাবে ভালােবাসল। এক পর্যায়ে মা-বাবার অমতে তাকে বিয়েও করল। কিন্তু বিয়ের পরপরই বড় ধরনের হোঁচট খেল সে। বিয়ের পর সে জানতে পারল, বখতিয়ার ইয়াবায় আসক্ত। এটা চন্দ্রমুখী কিছুতেই মানতে পারল না। এ নিয়ে দুজনের দ্বন্দ্বসংঘাত চরমে উঠল। চন্দ্রমুখী শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু কেন সে শ্বশুরবাড়ি ছাড়ল তা মা বাবাকে জানাতে পারল না। এ রকম অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে উটকো বিড়ম্বনা ছিল রাতবিরাতে। বখতিয়ারের ফোন। ওকে সে সহ্যই করতে পারছিল না। কঠিন মানসিক চাপে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় চন্দ্রমুখী। এর আগে তার জীবনের আনন্দ-বেদনার কাব্য লিখে যায় সুইসাইড নােটে।